কুয়াকাটা সৈকত থেকে ৬ কিঃমিঃ পশ্চিমে আন্ধারমানিক নদী মোহনায় অবস্থিত লেবুর চর (Lebur Char)। যা স্থানীয় অনেকের কাছে লেম্বুর চর ও নেম্বুর বন নামেও পরিচিত। কুয়াকাটার সৌন্দর্য দেখাই অপূর্নতায় থেকে যাবে লেম্বুর বনের দৃশ্য আপনার চোখ দর্শন না করে। লেম্বুর চরের কোল ঘেঁষে অবস্থিত পটুয়াখালীর বন বিভাগের সংরক্ষিত বনাঞ্চল। প্রাকৃতিক নয়ণাভিরাম বিধাতার হাতে নিপুন তুলিতে সাজানো গাছ গাছালী। বনের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে ছোট ছোট খাল। এর রয়েছে আরও শাখা প্রশাখা। এ খালটি গিয়ে আন্ধারমানিক নদী মোহনায় গিয়ে মিশেছে। চোখ যতদূর যায় বালু আর বালুর স্তুপ। লেম্বুর বনে রয়েছে গেওয়া, কেওড়া, ছইলা, গোলপাতা সহ বিভিন্ন প্রকার লতাগুল্ম । বনে রয়েছে কাঠবিড়ালী, সাদাবক, ঘুঘু, মাছরাঙ্গা সহ নানা রং বে রঙ্গের পাখির কিচির মিচির শব্দ। লেম্বুর চরে গেলে পর্যটকরা দেখতে পাবেন লাল কাঁকড়ার বিচরন। আরও দেখতে পাবেন অতিথি পাখি। লেম্বুর বনের কোলঘেষে বয়ে গেছে খাপড়াভাঙ্গা নদী। এ নদীর মধ্যখানে অবস্থিত আলীপুর-মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। একসময় এই লেবুর চর/ লেম্বুর বনে কয়েকটি রাখাইন পাড়া ছিল । যা সমুদ্র গর্ভে চলে গেছে। ঐ পাড়ার মাদবর ছিলেন লেম্বু মং নামে এক রাখাইন মাদবর। তার নামেই পরিচিত হয়েছে লেম্বুরবন।
কিভাবে যাবেন :
কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত থেকে মটরসাইকেলে করে লেবুর চর কুয়াকাটা (Lebur Char) এ যেতে পারবেন এছাড়াও আপনি ব্যাটারি চালিত অটো ভ্যান করেও আপনি যেতে পারবেন।
কোথায় খাবেন:
লেবুর চরে গিয়ে দেখতে পারবেন অনেকগুলো মাছ ও কাকড়া ফ্রাই এর দোকান। এছাড়াও ডাব পাওয়া যায়। এছাড়াও ঘরোয়া পরিবেশে মানসম্মত খাবার খাওয়ার জন্য আছে কুয়াকাটা সদরে অনেকগুলো খাবার হোটেল। এসব হোটেলে মানসম্মত খাবার পাওয়া যায় কম খরচের মধ্যেই।
কিছু ভ্রমন পরামর্শ:
- ভোরবেলা কুয়াকাটার অন্যান্য স্পট ঘুরে দেখে বিকেল বেলা লেবুর বনে যাওয়া টা ভালো,কারণ বিকের বেলা সুর্যাস্ত দেখাটা আলো ভালো ভাবে উপভোগ করতে পারবেন লেবুর চর বা লেম্বুর বন এ বসে।
- লেবুর বন এ গেলে লাল কাকড়ার বিচরন দেখতে পেলে নিজ দায়ীত্বে কাকড়াগুলো ধরা বা নিজের সাথে নিয়ে আসা থেকে বিরত থাববেন দয়া করে।
গুগল ম্যাপে লেবুর বন কুয়াকাটা